ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সংলগ্ন শহর বুচায় গণহত্যার প্রতিবাদে এক যোগে ৪০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে জার্মানি। সোমবার জার্মান সরকারের বিবৃতির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
এ প্রসঙ্গে জার্মানির সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বুচায় নিষ্ঠুর ও ন্যাক্কারজনক গণহত্যায় রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বিশ্ব বিক্ষুব্ধ। এই বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে জার্মানির সরকার কয়েকজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
কত জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেই সংখ্যা বিবৃতিতে দেয়নি জার্মানি; তবে দেশটির রাজধানী বার্লিনের রুশ দূতাবাস এএফপিকে জানিয়েছে বহিষ্কারাদেশ প্রাপ্ত কূটনীতিকদের সংখ্যা ৪০ জন।
এদিকে এ ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বার্লিনে নিযুক্ত রুশ দূতাবাস এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বার্লিনের রুশ দূতাবাস থেকে এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘এ ধরনের অমূলক ও ভিত্তিহীন বহিষ্কারাদেশ আমাদের দেশের সঙ্গে জার্মানির সংলাপের সুযোগ সীমিত করবে এবং তার ফলে, রাশিয়া ও জার্মানির পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।’
পৃথক এক বিবৃতিতে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘বুচায় যা ঘটেছে তা নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত আমরা সবাই প্রত্যাশা করছি; কিন্তু কেবল কিয়েভকে সমর্থন করতে সেই তদন্তের জন্য অপেক্ষা না করে জার্মানি যে পদক্ষেপ নিল, তা আমরা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশের এলাকা থেকে রুশ বাহিনী সরে যাওয়ার পর বুচা শহরে ৪১০টি মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে গিয়ে এসব মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে তারা।
রোববার ইউক্রেনের শীর্ষ প্রসিকিউটর বলেছেন, এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, তাঁরা এতটাই মর্মাহত যে কথাও বলতে পারছে না।
গত শনিবার কিয়েভের আশপাশের এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। তারপর শহরগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচার শুরু হয়। রাজধানী কিয়েভের পার্শ্ববর্তী বুচা শহরের মেয়র বলেছেন, চেচেন যোদ্ধারা এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করার সময় রুশ বাহিনীর গুলিতে অন্তত তিন শ জন বাসিন্দা নিহত হয়েছেন।