ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে পারমাণবিক কিংবা ব্যাপক প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই। সোমবার জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ কমিশনের এক বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন সেখানকার রুশ উপপ্রতিনিধি দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি।
বৈঠকে পোলিয়ানস্কি বলেন, ‘(রাশিয়ার বিরুদ্ধে) বর্তমানে যেসব প্রচার-প্রচারণা চলছে, তার বিপরীতে গিয়ে আমি বলব, রাশিয়া কেবল তখনই পারমাণু অস্ত্র প্রয়োগের বিষয়ে ভাববে যদি কোনো রাষ্ট্র রাশিয়ায় আগ্রাসন চালানোর উদ্যোগ নেয় কিংবা যদি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়ে।’
‘ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের মতো পরিস্থিতি হয়নি; আর রাশিয়া দৃঢ়ভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার পক্ষপাতী। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি— পরমাণু যুদ্ধে কেউই বিজয়ী হয় না।’
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তার আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মস্কো।
এদিকে, ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা বলে আসছে, ইউক্রেনে যে কোনো মুহূর্তে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে রাশিয়া।
সোমবারের বৈঠকে এ সম্পর্কে পোলিয়ানস্কি বলেন, ‘রাশিয়া তার মর্মমূলে রক্ষণাত্মক, আক্রমণাত্মক নয়। যারা প্রচার করছে যে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে, তারা আমাদের সম্পর্কে কিছু না জেনেই তা প্রচার করছে; এবং এই কাজটি তারা করছে রাশিয়ার প্রতি বিদ্বেশবশত।’
সূত্র: রিয়া নভোস্তি