ঢাকা থেকে সরাসরি কানাডার টরন্টোতে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা না করে তৃতীয় কোনো দেশে তেল নেওয়ার জন্য নামবে এয়ারলাইন্সটি।
সম্প্রতি ঢাকা থেকে সরাসরি টরন্টো রুটে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান। তেল নেওয়ার জন্য কোন দেশে থামতে পারে সেটি নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিটিও করেছে তারা।
বিমানের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, টরেন্টো রুটে বিমান বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ফ্লাইটটির ধারণক্ষমতা ২৯৮ জন। তবে প্রায় ১৫ ঘণ্টার এ রুটে বেশি পরিমাণ তেল নেওয়ার কারণে ১২০-১৩০ জন যাত্রী বহন করা হবে। যদি বিমান ঢাকা থেকে কম তেল নেয় এবং তৃতীয় কোনো দেশে ল্যান্ড করে পুনরায় তেল নেয় (রি-ফুয়েলিং) সেক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যক যাত্রী বহন করা যাবে। শুধু তাই নয়, তৃতীয় যে দেশ থেকে তেল নেবে বিমান সেই দেশ থেকেও কানাডার যাত্রী নেওয়া যাবে। সবকিছু ভেবে তেল নেওয়ার জন্য টেকনিক্যাল ল্যান্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ রুটে ভাড়া কমানোর পরিকল্পনাও করছে বিমান।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ইউরোপ অথবা এশিয়ার কোনো দেশে তেল নেওয়ার জন্য নামার পরিকল্পনা করেছে বিমান। কোন দেশে নামবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। তবে জার্মানির যেকোনো বিমানবন্দর অথবা উজবেকিস্তানের তাশখান্দে নামার সম্ভাবনাই বেশি। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে বিমান। আগামী জুন মাসে এ রুটে নিয়মিত ফ্লাইট চালু হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, এ রুটের ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন দেশে টেকনিক্যাল ল্যান্ডিংয়ের করা যায় সেটি নির্ধারণের কাজ করছেন বিমানের প্রকৌশলীরা।
এর আগে ২৬ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে টরন্টো রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান। প্রায় ১৯ ঘণ্টা উড়ে ফ্লাইটটি টরন্টো পৌঁছে। ৩০ মার্চ দুপুরে ‘প্রুভেন ফ্লাইট’ নাম দিয়ে টরেন্টো থেকে ১৬ ঘণ্টা উড়ে ফ্লাইটটি ঢাকায় নামে।