জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ, শরীয়তপুর-এর বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিএম সোহেলকে লাঞ্ছিত করল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
আজ (বুধবার) সম্মান চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মৌখিক পরীক্ষায় ছাত্রলীগকে কেন দাওয়াত দেওয়া হয়নি সে জবাবদিহিতা চাইতে আসে একই কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিএম সোহেলের নিকট। বিএম সোহেল দাওয়াত কেন দেওয়া হবে বুঝতে না পেরে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরেছুল আজমের কাছে ব্যাখা চাইতে বলেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা, একপর্যায়ে সহকারী অধ্যাপক অরেছুল আজমের সামনে তাঁকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। প্রভাষক বিএম সোহেল এবং সহকারী অধ্যাপক অরেছুল আজম দুইজনই অভিযোগ করেছেন।
এই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ, শরীয়তপুর শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দার সহ ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী।
কলেজের অধ্যক্ষ হারুনর রশিদকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও, এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
এই ঘটনা ছড়িয়ে পরলে অত্র কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তার মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে এবং বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার এসোসিয়েশনের মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাছাড়া বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
কলেজের অধ্যক্ষ হারুনর রশিদকে ফোনে বিষয়টি নিয়ে “সাময়িকী” জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
লাঞ্ছিত হওয়া প্রভাষক বিএম সোহেলের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাময়িকীকে বলেন তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছে লাঞ্ছনাকারী শরীয়তপুর শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারী। তাঁর সাথে আলাপ কালে, কোন লিখিত অভিযোগ তিনি থানায় করেছেন কিনা জানতে চাইলে, করা হয়নি বলে জানান।
এই বিষয়ে ছাত্রলীগ শরীয়তপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি কলেজে আজ যাইনি এবং এই ঘটনার বিষয়েও জানিনা। তিনি বলেন তিনি জেনে পরে জানাবেন। অথচ একাধিক সুত্রে জানা যায় তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রভাষক বিএম সোহেলকে লাঞ্ছিত ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শরীয়তপুর শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারীকে মুঠো ফোনে অনেকবার চেষ্টা করে গেলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।