ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১২ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রশাসন। তবে রাশিয়া এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইউক্রেনের অ্যাটর্নি জেনারেল তার ফেসবুক পেজে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। বহু সাংবাদিক আহত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে আমেরিকা, আয়ারল্যান্ড এবং রাশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। রাশিয়ার গোলার আঘাতেই সাংবাদিকদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
এদিকে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে চিন্তিত জার্মানি। জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস সম্প্রতি জার্মানির নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন। জার্মান সংবাদপত্রের দাবি, বিপুল অর্থ খরচ করে জার্মানি অ্যান্টি মিসাইল শিল্ড তৈরি করতে পারে। ইসরায়েলের অনুকরণে আয়রন শিল্ডের মতো কিছু তৈরি হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। গোটা জার্মানি জুড়েই ওই শিল্ড তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের আয়রন ডোম আরও তিন সিস্টেমের উপরে তৈরি। ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে জার্মানি ইসরায়েলের কাছ থেকে সেই সিস্টেম কিনতে পারে বলেও জল্পনাকল্পনা চলছে। এই বাজেট সামরিক খাতে সাধারণ বাজেটের বাইরে বলেও দাবি করা হয়েছে।
সম্প্রতি শলৎস বলেছিলেন, রাশিয়া যেভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছে, তাতে জার্মানিকে নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের মুখপাত্র রবিবার জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করা ঠিক হচ্ছে না। বাকি বিশ্বের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। শান্তি প্রস্তাব নিয়ে নিরন্তর আলোচনা চালিয়ে যাওয়া।
তিনি আরও বলেন, “যদি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের সেতুগুলি সকলে ভেঙে দেয়, তা দিনের শেষে আলোচনার রাস্তা খুলবে কী করে? দোহার একটি আলোচনাসভায় একথা বলেছেন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন।”
কালিনের মতে, ইউক্রেনকে আরও সাহায্য করা উচিত সকলের। ইউক্রেন যাতে নিজেকে রক্ষা করতে পারে, সকলের সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। কিন্তু রাশিয়াকে পুরোপুরি ব্রাত্য করে দিলে চলবে না।
তুরস্ক ন্যাটোর অন্যতম সদস্য। কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই তাদের সম্পর্ক ভালো। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও তারা সেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।