মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির (বিআরইউ) এর আয়োজনে দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মরণোত্তর সন্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে টায় বিআরইউ’র শহীদ জননী সাহান আরা বেগম স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্ত হালদার (মরনোত্তর) ও কুমুদ রঞ্জন বাড়ইকে (মরনোত্তর) সন্মাননা প্রদান করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্ত হালদারের পক্ষে সন্মাননা ক্রেস্ট গ্রহন করেন তাঁর মেয়ে জুলিয়েট হালদার ও নরওয়ে থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলা সংবাদ মাধ্যমে সাময়িকী’র প্রধান সম্পাদক ভায়লেট হালদার। আর বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমুদ রঞ্জন বাড়ই’র পক্ষে ক্রেস্ট গ্রহন করেন তারঁ স্ত্রী মঞ্জু রাণী।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ কুমার ঘোষ পুতুল ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম নীলু।
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি গাজী শাহ রিয়াজের সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী মজুমদারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুশফিক সৌরভ। বক্তব্য রাখেন বিআরইউর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন, সুশান্ত ঘোষ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাময়িকী’র সাহিত্য সম্পাদক লিটন রাকিব, সাংবাদিক মইনুল ইসলাম সবুজ, বিআরইউর সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক রাসেল হোসেন, সদস্য তন্ময় তপু, জিয়াউল করিম মিনার, বিপ্লব কর্মকার, টিটু দাস, এন আমিন রাসলে, জহির রায়হান প্রমুখ।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪ টায় চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের সন্মাননা প্রদান শেষে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগীযায় অংশগ্রহনকারী সবাইকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও দলিলপত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে বিআরইউ কার্যালয়ে। শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯ বিআরইউ’র শহীদ জননী সাহান আরা বেগম স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক নেতা দাশগুপ্ত আশিষ কুমার।