ইউক্রেনে বিধ্বংসী হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি ভূগর্ভস্থ অস্ত্রাগার ধ্বংস করতে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মস্কোর দাবি, শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাশিয়ার যুদ্ধ বিমান এমআইএফ-৩১ থেকে নিক্ষেপ করা হাইপারসনিক অ্যারোব্যালিস্টিক মিসাইল কিনজাল হামলায় ইউক্রেনের ইভানো-ফ্রাংকিভস্ক অঞ্চলে অবস্থিত একটি গোলাবারুদের ভাণ্ডার ধ্বংস হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিধ্বংসী এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। শব্দের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গতিসম্পন্ন এ ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি। দ্রুতগতির এ ক্ষেপণাস্ত্র দুই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
তবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রাশিয়ার এমন দাবির প্রেক্ষাপটে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। আর এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে রাশিয়ার দাবির সত্যতা যাচাই করাও সম্ভব হয়নি।
এদিকে রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো রাশিয়ার আকাশপথে চালানো হামলা ঠেকাতে পশ্চিমা দেশগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইটালির একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “আমাদেরকে সাহায্য করুন। আকাশপথ বন্ধ রাখার সামর্থ্য আমাদের আছে তবে আমাদের উপযোগী অস্ত্র দরকার।”
তার আগেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনে নো-ফ্লাইং জোন ঘোষণা করতে ন্যাটোকে অনুরোধ করেন। যদিও নো-ফ্লাইং জোনের ঘোষণা রাশিয়ার সাথে সরাসরি সংঘাত তৈরি করতে পারে এমন আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ থেকে বিরত রয়েছে ন্যাটো।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর গত সপ্তাহ থেকে রাজধানী কিয়েভ ঘিরে আক্রমণ জোরদার করে রাশিয়া। মেয়র ক্লিটশকোর দাবি, রাশিয়ার হামলায় কিয়েভে এখন পর্যন্ত দুইশজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। রাজধানীতে এখনো প্রায় ২০ লাখ লোক আটকে আছেন বলেও দাবি তার।
আর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দাবি, এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার রাশিয়ান নিহত হয়েছেন।