টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে মানবস্রোত

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

টানা তিন দিনের সরকারি ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রায় সবগুলো হোটেল-মোটেল অগ্রিম ভাড়া হয়ে গেছে। এতে শুধু আবাসিক খাতেই আয় হবে আনুমানিক ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পর্যটকরা বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের প্রায় সব রুম ভাড়া হয়ে গেছে।

এই তিন দিনে ভালো লাভের আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ সরকারি তালিকা অনুযায়ী, কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজের সংখ্যা ৫১৬টি। এসব হোটেলের সবকটি কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে যাওয়ায় খুশি তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারের অন্তত ২ লাখ পর্যটক আসতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেখা গেছে, কক্সবাজার শহর ছাড়াও হোটেল-মোটেল এবং অলিগলিতে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। ভিড় বাড়ছে যানবাহনেও।

- বিজ্ঞাপন -

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব টোয়াকের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং শবে বরাতকে সামনে রেখে আগামী ১৭-১৮-১৯ মার্চ তিনদিন সরকারি ছুটি। এই কারণে পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে আসতে শুরু করেছেন।”

কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ রোড হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান জানান, “এবারের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক কক্সবাজারে আসছে। দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা বা করোনার থাবা থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমবার বড় কোনো ব্যবসার আলো দেখছে পর্যটন শহরের ব্যবসায়ীরা। ৫১৬ হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজের শতভাগ বুকিং হয়েছে। ইতিমধ্যে পর্যটন নগরীতে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা।”

বিচটা বে রিসোর্টেও ব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল বলেন, “তিন দিনের ছুটিকে সামনে রেখে হোটেলের সব কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। এখনও অনেক ফোন আসছে বুকিংয়ের জন্য। কিন্তু আমরা বুকিং নিতে পারছি না। আশা করছি অনেকদিন পরে ভালো ব্যবসা হবে।”

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৭-১৯ মার্চ তিন দিন সরকারি ছুটিতে কক্সবাজারে এই পর্যটকদের ঢল। তাদের নিরাপত্তায় থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা প্রশাসনের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচকর্মীরা। এছাড়াও মোতায়েন করা হবে সাদা পোশাকধারী পুলিশ।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, “পর্যটকদের পদচারণায় মুখর তিনটি পয়েন্ট বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর বাইরেও যেকোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পর্যটদের কোনো ধরনোর হয়রানি বরদাশত করা হবে না। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে আছি।”

- বিজ্ঞাপন -

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন জানান, “এমনিতেই কক্সবাজার পর্যটকে ভরপুর থাকে। তার ওপর টানা ছুটি। এ কারণে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে টহলে থাকবে পুলিশ।”

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!