সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করা অবৈধ জোটবদ্ধ (সিন্ডিকেশন) ব্যবসা প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে শিল্প সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে করা এক রিট আবেদনে মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবীর ও আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করা অবৈধ জোটবদ্ধ (সিন্ডিকেশন) ব্যবসা বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সেই সঙ্গে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করা জোটবদ্ধ (সিন্ডিকেশন)দুষ্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া অবৈধ জোটবদ্ধ (সিন্ডিকেশন) ব্যবসা প্রতিরোধে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ এর ২১(১) ধারা অনুযায়ী প্রযোজনীয় প্রবিধান প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং চাল, ডাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের মতো নিত্য প্রেয়োজনীয় পণ্য বিক্রির ওএমএস (খোলা বাজারে বিক্রয়) নীতিতে রেশন কার্ডের বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে সে প্রশ্নও রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী গত ৬ মার্চ রিটটি করেছিলেন। কয়েক দফা সংশোধন ও শুনানির পর এ আদেশ হলো।