ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি আবাসিক ভবনে গোলাবর্ষণ করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এতে একজন নিহত এবং আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে সোমবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিদেনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তবে ইউক্রেনের স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস বলছে, সোমবার সকালে স্থানীয় সময় ৭টা ৪০ মিনিটে চালানো হামলার পর দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে কিয়েভের ওই আবাসিক ভবনে রুশ হামলার পরের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস। এসব ছবিতে ৯তলা বিশিষ্ট ভবনের ওই ব্লক থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। এছাড়া ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধারে জরুরি সেবা কর্মীদের মই ব্যবহার করতেও দেখা যায়।
এদিকে ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যেই রাশিয়া চীনের কাছে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, রাশিয়া চায় ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করুক চীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেনে আগ্রাসনের শুরু থেকেই চীনা সরঞ্জামের জন্য বেইজিংকে অনুরোধ করে আসছে রাশিয়া। অবশ্য রুশ কর্মকর্তারা চীনের কাছে ঠিক কী ধরনের সরঞ্জাম চাইছেন তা উল্লেখ করতে অস্বীকার করেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মস্কোর অনুরোধের পর চীন সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত হতে পারে এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি পৃথক প্রতিবেদনে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রভাব প্রশমিত করার জন্য বেইজিংয়ের কাছে অর্থনৈতিক সহায়তাও চাইছে মস্কো।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়াতে মস্কোকে সহায়তা করলে চীনকে ‘অবশ্যই’ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, বেইজিং রাশিয়াকে ঠিক কতটা অর্থনৈতিক বা অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে কি না সেটি ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তেন কিছু ঘটলে (চীনের বিরুদ্ধে) পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভাষায়, ‘আমরা বেইজিংয়ের সাথে সরাসরি এবং ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখছি, বৃহৎ আকারের নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দেওয়ার প্রচেষ্টা বা রাশিয়াকে সহায়তার জন্য বেইজিংকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। আমরা এমনটি হতে দেব না এবং এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়াতে বিশ্বের কোনো দেশ থেকেই রাশিয়াকে সহায়তা পেতে দেওয়া হবে না।’