সামরিক জোট ন্যাটো তথা পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভ অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন। লভিভ অঞ্চলের গভর্নরের বরাত দিয়ে রোববার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এছাড়া আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কেন্দ্রে (আইপিএসসি) নামের এই সামরিক ঘাঁটিতে রুশ সেনারা ৩০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে বলেও জানিয়েছেন লভিভের গভর্নর। এর আগে রোববার রুশ সেনারা সেখানে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল বলে জানা গিয়েছিল।
এদিকে ইউক্রেন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কেন্দ্রে (আইপিএসসি) বিদেশি সামরিক প্রশিক্ষকরা কাজ করছেন। কেন্দ্রটি লভিভ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ইয়াভোরিভ জেলায় অবস্থিত এবং এটি একটি সামরিক প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র।
হামলার পর জানানো প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ বলেছেন, রাশিয়ার আক্রমণ করা পশ্চিম ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে বিদেশি সামরিক প্রশিক্ষকরা কাজ করছেন। হামলায় হতাহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য, বিশেষ করে শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কেন্দ্র (আইপিএসসি) গঠিত হয়েছিল। এখানে বিদেশি সেনারাও প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে।
আইপিএসসি সম্পর্কে সামরিক জোট ন্যাটোর একটি নথিতে বলা হয়েছে, ডি-মাইনিং এবং মাইন সুরক্ষা বিষয়ে ইউক্রেনীয় ও অন্যান্য দেশের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এই কেন্দ্রটি।
বিবিসি ইউক্রেনের মিরোস্লাভা পেতসা জানিয়েছেন, আইপিএসসি ইউক্রেনের দু’টি স্থানের মধ্যে একটি যেখানে আন্তর্জাতিক সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হামলার শিকার এই সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পোল্যান্ড তথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলার পর ওই সামরিক ঘাঁটিতে ১৯টি অ্যাম্বুলেন্সকে যেতে দেখেছেন তিনি। এছাড়া টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ন্যাটো সীমান্তের কাছে শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর এটি নতুন সন্ত্রাসী হামলা।’