মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় আরও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
আফ্রিকার এই দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে বলে কঙ্গোর রাষ্ট্রীয় রেল কোম্পানি এবং স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
কঙ্গোর এসএনসিসি ট্রেন অপারেটরের পরিকাঠামোর পরিচালক মার্ক মান্যোঙ্গা এনডাম্বো শনিবার বার্তাসংস্থা এএফপি’কে জানান, ‘ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৬১ জন। নিহদের মধ্যে পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুও রয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় আরও ৫২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে।’
এদিকে প্রাদেশিক গভর্নর ফিফি মাসুকার উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে মান্যোঙ্গা জানান, ‘দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি মূলত একটি মালবাহী ট্রেন এবং দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার সময় সেটি ‘কয়েক শতাধিক যাত্রী’ বহন করছিল। এসব যাত্রী গোপনে ট্রেনিটিতে ভ্রমণ করছিলেন। এছাড়া ট্রেনের মধ্যে এখনও বেশ কিছু মৃতদেহ আটকে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মান্যোঙ্গা আরও বলেন, ট্রেনটিতে থাকা ১৫টি ওয়াগনের মধ্যে ১২টিই খালি ছিল। এটি দক্ষিণ কঙ্গোর লুয়ালাবা প্রদেশের রাজধানী কোলওয়েজির কাছে টেনকে শহরের উদ্দেশে পার্শ্ববর্তী প্রদেশের লুয়েন থেকে আসছিল। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে কোলওয়েজি থেকে ২০০ কিলোমিটার আগে একটি গ্রামে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি।
মান্যোঙ্গার ভাষায়, সোমবারের মধ্যে রেললাইনটি ঠিক করতে কাজ করছে কর্মীরা। অবশ্য ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি উল্লেখ করেননি তিনি।
ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়া ঘটনা খুবই সাধারণ। যাত্রীবাহী ট্রেন বা চলাচলের উপযোগী রাস্তার অভাবের কারণে আফ্রিকার এই দেশটির বহু মানুষ দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণের জন্য পণ্যবাহী ট্রেন ব্যবহার করে থাকে।
গত বছরের অক্টোবরে একই প্রদেশের মুতশাতশা অঞ্চলের কেনজেনজে শহরে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৯ জন নিহত হয়েছিলেন।