ইউক্রেনে যুদ্ধরত রাশিয়ান সেনাদের সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধাদের আনার অনুমতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (১১ মার্চ) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ অনুমতি দেন পুতিন।
পুতিন বলেন, “যদি এমন লোকজন থাকে, যারা অর্থের বিনিময়ে নয় বরং নিজের ইচ্ছায় ডনবাসের স্থানীয় জনগণকে সহযোগিতা করতে চায়, তাহলে তাদেরকে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় আসতে দেওয়া দরকার।”
সভায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরেগেই শোইগু জানান, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ১৬ হাজার লোক স্বেচ্ছায় পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়ান সেনাদের পক্ষে যুদ্ধ করতে চায়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধের সময় স্টিংগার মিসাইল এবং বহনযোগ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমসহ নানা ধরনের অস্ত্র রাশিয়ান বাহিনীর হাতে এসেছে। এসব অস্ত্র ডনবাসে যুদ্ধরত রাশিয়ান সেনাদের পাঠানো উচিত মনে করেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতকে সমর্থন করে পুতিন বলেন, “তাদেরকে অস্ত্রগুলো দিন। উদ্ধারকৃত এসব অস্ত্র রাশিয়ান বাহিনীকে দেওয়ায় আমার সমর্থন রয়েছে।”
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এ হামলাকে “বিশেষ সামরিক অভিযান” বলছে রাশিয়া। পুতিনের দাবি, “সম্প্রসারিত হয়ে ন্যাটো রাশিয়ার সীমানায় চলে আসছে এবং কিয়েভে পশ্চিম-সমর্থিত সরকারকে সহযোগিতা দিচ্ছে। আর এ কারণে রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য ইউক্রেনে এমন একটি সামরিক অভিযান জরুরি।”
তবে ইউক্রেন বলছে, অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তারা লড়ছে।