রোজার আগে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নিত্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র স্থাপনের মার্জিন শূন্য পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, খেজুর, ফলমূল এবং চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদুল ফিতর আসন্ন। অন্যদিকে কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিসহ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত বিভিন্ন কারণে বাজারে আমদানি নির্ভর নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।
এ অবস্থায় আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, খেজুর, ফলমূল এবং চিনিসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা অনুসরণের জন্য সার্কুলারে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- আমদানি ঋণপত্রের মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে এবং ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনে ঋণপত্র খোলা যাবে; এবং আমদানি ঋণপত্রের কমিশন ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে যথাসম্ভব ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে।
এ নির্দেশনা চলতি বছরের ১০ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।