ইউক্রেনে “বিশেষ সামরিক অভিযান” চালাচ্ছে রাশিয়া। অভিযানের ১৩তম দিনেও বিশেষ কোনো অগ্রগতি নেই। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাদের দাবি মেনে নিলেই এ অভিযান বন্ধ করা হবে। এদিকে, সোমবার (৭ মার্চ) ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের জন্য তৃতীয়বারের মতো “নিরাপদ করিডর” এর জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও তা সত্ত্বেও দেশটিতে বোমাবর্ষণ করছে রাশিয়া, এমন অভিযোগ ইউক্রেনের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী কিয়েভের শহরতলি ইরপিনে রুশ সৈন্যরা ক্রমাগত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শহরের প্রশাসন জানিয়েছে নদীর ওপর বানানো অস্থায়ী সেতু দিয়ে ২০০০ মানুষ শহর ছেড়ে চলে যেতে পেরেছে।
কিয়েভের কাছে আরেকটি ছোট শহর হোসটোমেলের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে রুটি এবং ওষুধ বিতরণের সময় গুলিতে শহরের মেয়র ইউরি প্রাইলিপকো মারা গেছেন। কৌশলগত-ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হোসটোমেল এয়ারফিল্ডটি এই শহরের কাছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণে, মিকোলাইভ শহরটি নতুন করে রুশ হামলার মুখে পড়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছে রাতে শহরের আবাসিক এলাকায় কামানের গোলা এসে পড়েছে। শহরটি ক্রাইমিয়া এবং ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বন্দর শহর ওডেসার মাঝামাঝি জায়গায়।
অবরুদ্ধ বন্দর শহর মারিউপোলে বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন। আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষ পানি ও খাদ্যের চরম সংকটে পড়েছে। শহর থেকে পালানো একটি পরিবারের সদস্যরা বলেছেন “শহরের সর্বত্র মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।”
মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে ক্রাইমিয়া এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লুহানস্ক এবং দনিয়েস্কের মধ্যে সরাসরি স্থল যোগাযোগ তৈরি করতে সমর্থ হবে রাশিয়া, এমনটিও ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।