করোনা: বিশ্বে কমেছে সংক্রমণ, মৃত্যু প্রায় সাড়ে ৫ হাজার

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
5 মিনিটে পড়ুন

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ১০ লাখের নিচে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কভারত। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৬৮ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৭৪ হাজার।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ হাজার ৩৪৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় এক হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬৮ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৬৮ হাজার ২৯০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে এক লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৬৮ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৭ জনে।

- বিজ্ঞাপন -

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩৩ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৯২০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৬০ জনের।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৩৯৬ জন এবং মারা গেছেন ১১৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৮ লাখ ২৪ হাজার ১৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৬ জন মারা গেছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ ও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩ জন এবং মারা গেছেন ৬২৯ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৮ জন মারা গেছেন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫১৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৩ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৫ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ১৫ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৪ হাজার ৫৪ জন।

- বিজ্ঞাপন -

গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ২৭৫ জন এবং মারা গেছেন ২১৩ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৮১ জন এবং মারা গেছেন ২০৭ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২৬২ জন।

এছাড়া গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ২৩২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৭ লাখ ২ হাজার ৮১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬৭ জন মারা গেছেন। গত একদিনে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৮২ জন এবং মারা গেছেন ৭৪ জন।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চিলিতে ১৫৩ জন, আর্জেন্টিনায় ৩২ জন, ইরানে ২০৭ জন, জাপানে ১৭৬ জন, রোমানিয়ায় ৫৭ জন, ফিলিপাইনে ৫০ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৮৩ জন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ১১৪ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৭২ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৬ জনের।

- বিজ্ঞাপন -

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!