এক এক করে পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক আগ্রাসন। রুশ সামরিক বাহিনীর ব্যাপক হামলায় গত চারদিনে পূর্ব ইউরোপের ছবির মতো সুন্দর এই দেশটি ক্ষতবিক্ষত হলেও ইউক্রেন এখন বলছে, আক্রমণের তীব্রতা কমিয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
যদিও মাত্র একদিন আগেই চতুর্দিক থেকে ইউক্রেনে হামলা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছিল মস্কো। সোমবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
এদিন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায়, ইউক্রেনে রুশ সেনারা আক্রমণের তীব্রতা কমিয়ে দিয়েছে। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর একজন জেনারেল স্টাফের ভাষায়, ‘রুশ হামলাকারীরা আক্রমণের গতি কমিয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের কিছু এলাকায় এখনও সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করছে তারা।’
যদিও মাত্র একদিন আগেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক অভিযান ‘সব দিক থেকে’ আরও জোরদার করতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মস্কোর এই নির্দেশের পর পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ আক্রমণ আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
হামলার তৃতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক আক্রমণ করে রুশ সামরিক বাহিনী। এতে করে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির রাজধানীর রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য প্রবল হামলার মুখেও কিয়েভে বেশ শক্ত প্রতিরোধের মুখেই পড়েছে রুশ বাহিনী।
অবশ্য হামলার তীব্রতা কমে আসার মতো প্রায় একই ধরনের তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসিও। তারা জানিয়েছে, আগের দুই রাতের তুলনায় কিয়েভে রোববারের রাত ছিল তুলনামূলক শান্ত।