ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই রুশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সম্ভাব্য এ বৈঠক সম্পর্কে রাশিয়া বা বেলারুশ কোনো বিবৃতি দেয়নি। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে এ বৈঠক হবে বলে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেলারুসের নেতা আলেক্সান্ডার লুকাশেংকোর সঙ্গে কথা বলার পর একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই রুশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। বৈঠক হবে প্রিয়াপাত নদীর কাছে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে।
বৈঠক চলাকালে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেংকো নিয়েছেন বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
এর আগে জেলেনস্কি বলেছিলেন, যেহেতু বেলারুশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইউক্রেনের ওপর রুশ আক্রমণ হচ্ছে তাই বেলারুশের ভেতরে কোনো বৈঠকে তিনি যাবেন না।
বিবিসির তখনকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। একই সঙ্গে তিনি চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউরোপের অন্য কোনো শহরে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, বেলোরুশের রাজধানী মিনস্কে আলোচনা সম্ভব হতে পারতো যদি রাশিয়া বেলারুশের ভূখণ্ড থেকে ইউক্রেনে আক্রমণ না করতো। তবে অন্য স্থানে আলোচনার দরজা খোলা আছে।
জেলেনস্কি আরও বলেছিলেন, অবশ্যই আমরা শান্তি চাই, আমরা দেখা করতে চাই, আমরা যুদ্ধের অবসান চাই। ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তাম্বুল, বাকু—এসব জায়গায় আলোচনায় বসার জন্য আমরা রাশিয়ার কাছে প্রস্তাব করেছি।
তিনি বলেন, অন্য যেকোনো শহরও আমাদের জন্য উপযুক্ত হবে—এমন একটি দেশে, যার ভূখণ্ড থেকে আমাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়নি। এটিই একমাত্র উপায়, যাতে আলোচনা ফলপ্রসূ হতে পারে এবং সত্যিই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন। এর কয়েক মিনিট পরই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
সুত্র: বিবিসি