নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চারজন কমিশনার শপথ নিয়েছেন। রবিবার বিকাল চারটা ৩৫ মিনিটে হাইকোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে তারা শপথ নেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে শপথ নিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
গতকাল শনিবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই কমিশনের কার্যকাল আগামী পাঁচ বছর। সে হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়।
যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করেন সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন।
এর আগে সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল নাম পাঠায়। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠান। তবে বিএনপিসহ ১৭টি দল নাম প্রস্তাব করেনি।
সার্চ কমিটির কাছে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। এরপর তারা কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ১০ জনের এ তালিকা জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।