সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং আরও চারজনকে (ইসি)কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দেশের ১৩তম সিইসি নিয়োগ পেয়েছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই কমিশনের কার্যকাল শুরু হবে।
এর আগে, শনিবার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার করা হয়। বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
চার নির্বাচন কমিশনাররা হলেন, বেগম রাশিদা সুলতানা, তিনি ২০২০ সালে রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসরোত্তর ছুটিতে যান। আহসান হাবীব খান, তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পদে কর্মরত ছিলেন।
মো. আলমগীর, যিনি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে অবসরে যান গত বছর। অপর নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে অবসরে গেছেন গত ডিসেম্বরে।
৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে অনুসন্ধান কমিটি (সার্চ কমিটি) গঠন করা হয়। কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম দেওয়ার অনুরোধ করে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে কমিটি। সেখান থেকে পাঁচজনকে বাছাই করা হয়েছে।
১৯৭২ সালের ৭ জুলাই বিচারপতি মো. ইদ্রিসকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগের মধ্যে দিয়ে দেশে নির্বাচন কমিশনের যাত্রা শুরু হয়। এর আগে কমিশনার হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন ২৭ জন।