রুশ বাহিনীর নজর এখন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে। শুক্রবার কিয়েভের বাইরে প্রবেশ করে রুশ বাহিনী। উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্ব দিক দিয়ে রাজধানীতে হামলা চালিয়ে দখলের হুমকি দেয় রুশ বাহিনী।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার রাতে সতর্ক করে বলে দেন আজকের রাত হবে সবচেয়ে কঠিন। তিনি বলেন, এই রাতে শত্রুরা আমাদের প্রতিরোধ ভাঙার সব উপায় ব্যবহার করবে। এই রাতে তারা হামলা শুরু করবে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার রাতে সতর্ক করে বলে দেন আজকের রাত হবে সবচেয়ে কঠিন। তিনি বলেন, এই রাতে শত্রুরা আমাদের প্রতিরোধ ভাঙার সব উপায় ব্যবহার করবে। এই রাতে তারা হামলা শুরু করবে।
বহু ইউক্রেনীয় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। শহর কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের বাড়িতে থেকে পেট্রোল বোমা বানানোর প্রস্তুতি নিতে বলেছে। একটি জেলায় যুদ্ধ করতে আগ্রহীদের অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের সব নাগরিককে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়ে উঠছে কিয়েভ। বাসিন্দারা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন স্টেশনগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। অন্যদের সঙ্গে আশ্রয় নিয়ে এক স্টেশনে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে হোস্তোমেল বিমান ঘাঁটি দখলে নেওয়ার দাবি করেছে। এছাড়া শনিবার সকালে ওবোলোনস্কি জেলার কেন্দ্রস্থলে রুশ বাহিনীর ট্যাংক চলাচলের ছবি ধারণ করেছেন বাসিন্দারা।
৫০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থী বিগত ৪৮ ঘণ্টায় দেশ ছেড়েছে। এদের বেশিরভাগ পোল্যান্ড ও মোলদোভায় পৌঁছেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি জানিয়েছেন, আরও অনেকেই সীমান্তের দিকে ছুটছে। ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্তের দিকে সড়কে তৈরি হয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখলে নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনীয় নেতাদের মাদকাসক্ত এবং নব্য-নাৎসি চক্র আখ্যা দেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি এই চক্র ইউক্রেনের জনগণকে জিম্মি বানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার অর্থনীতি বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে পশ্চিমা শক্তিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাশিয়াতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। প্রখ্যাত রুশ নাগরিকেরা এসব বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন। যুদ্ধ-বিরোধী মিছিল থেকে এক হাজার আটশ’র বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, পপ তারকা, সংবাদপত্রের প্রতিনিধি, টিভি উপস্থাপকসহ অনেকেই।