উত্তেজনা ও যুদ্ধের দামামার মধ্যে ইউক্রেনে মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজেও। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের অনেক অবকাঠামো এবং সীমান্তরক্ষীদের ওপর মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।
এদিকে ইউক্রেনে হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের শহরগুলোতে হামলার কথা অস্বীকার করেছে দেশটি। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো ও স্থাপনাগুলোকেই লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে রুশ বার্তাসংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, কোনো ইউক্রেনীয় শহরে হামলা চালানো হচ্ছে না। নির্ভুলভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম অত্যাধুনিক সব অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিমান বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করা হচ্ছে।
এদিকে বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি করতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্টের এই আহ্বানের পর দেশে সামরিক আইন জারির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে শিগগিরই ওই পরিষদ বৈঠকে বসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। কিছুক্ষণ আগে এ ঘোষণা দেন তিনি। পুতিনের এ ঘোষণা দেওয়ার ভাষণটি যখন টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছিল একই সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলছিল; যেখানে তাকে থামানোর আহ্বান জানানো হয়।
একই তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবাও। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনে মাত্রই পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।’
তিনি আরও বলেছেন, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন রুখে দাঁড়াবে এবং বিশ্বকে অবশ্যই পুতিনকে থামাতে হবে।