কক্সবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করলে পর্যটনশিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব)। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ আশঙ্কার কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্কোয়াব-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, “সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল সীমিত করার চিন্তা করছে বিআইডব্লিউটিএ। মাত্র দুইটি জাহাজ চললে কয়েক হাজার পর্যটক আর আসতে পারবেন না। যার প্রভাব পড়বে পুরো পর্যটন শিল্পে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ব্যবসা। জাহাজ চলাচল বন্ধ হলে বিকল্প পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের নৌকায় চড়ে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকেরা। সুতরাং যে উদ্দেশ্যে জাহাজ চলাচল সীমিত করা হচ্ছে তার কোনো সুফল আসবে না। বরং পর্যটন খাতে আরও ঝুঁকি বাড়বে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা ১৩ দফা নির্দেশনার সঙ্গে আমরা একমত এবং সেগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছি। কিন্তু নানা অজুহাতে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে পর্যটক সীমিত করা হলে হোটেল ব্যবসাসহ পর্যটন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এতে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১৮৮টি আবাসিক হোটেলে নতুন সংকট সৃষ্টি হবে এবং সেন্টমার্টিনের অন্তত ৫ হাজার মানুষের জীবিকাও হুমকিতে পড়বে।”
এ সময় তোফায়েল আহমদ কিছু সুপারিশ জানিয়ে বলেন, “বর্তমান চলাচলরত ১০টি জাহাজে সর্বোচ্চ ৩ হাজার পর্যটক যাতায়াত করে, দ্বীপের আবাসিক হোটেলগুলোতে দৈনিক ১ হাজার ৪০০ পর্যটক রাতযাপন করে এবং বাকি ১ হাজার ৬০০ পর্যটক গন্তব্যে ফিরে যায়। সরকারি নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভবিষ্যতে এভাবে পর্যটক ব্যবস্থাপনা অব্যাহত রাখতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সেন্টমার্টিন বিষয়ে নীতি নির্ধারণী সভা হচ্ছে। সেখানে সেন্টমার্টিন বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। তাই আমাদের বিশেষ অনুরোধ, সভায় আমাদের দাবিসমূহ যেন গৃহীত হয়।”
এদিকে, সেন্টমার্টিনে সীমিত জাহাজ চলাচল পুনর্বিবেচনার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ এবং হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের সুরক্ষায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব থেকে দ্বীপকে রক্ষার জন্য নানা কর্মসূচি পালন করে চলেছে।