রামপালে জোরপূর্বক সংখ্যালঘুর জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

সুজন মজুমদার
সুজন মজুমদার - বাগেরহাট প্রতিনিধি
2 মিনিটে পড়ুন

রামপালে নিরীহ এক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি রাতের আঁধারে জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকার চেয়ে ওই পরিবারটি রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের কাঠামারি গ্রামের মৃত কৃষ্ণ রায়ের ছেলে নারায়ণ চন্দ্র রায় সিএস খতিয়ানের ৫৪০, ৫৪১ ও ২২০৫ নং দাগের ১ একর ৮৮ শতক জমি আলহাজ্ব আঃ জব্বার মোল্লার নিকট হইতে ক্রয়সূত্রে মালিক প্রাপ্ত হন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন। রামপালের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত দিদার বক্সের ছেলে আলমগীর হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা জোরপূর্বক ওই জমি দখল নেওয়ায় অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। নারায়ণ চন্দ্র রায়ের দখলকৃত ওই জমি আলমগীরের দাবি করে বাগেরহাট বিঞ্জ আদালতে ২০১৫ সালে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং – ৩৪/১৫। যা এখনো চলমান রয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তি না হতেই আদালতকে অবমাননা করে ওই জমি তিনি আশরাফ আলীর নিকট বিক্রি করেন। ভুক্তভোগী নারায়ণ চন্দ্রকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আলমগীর সুপরিকল্পিত ভাবে তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে রাতের আঁধারে ওই জমি দখল নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে দাবী করেন।

D097C0F6 797F 4537 B9E4 D8361327BE21 রামপালে জোরপূর্বক সংখ্যালঘুর জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ
রামপালে জোরপূর্বক সংখ্যালঘুর জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ 35

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ওই জমি দখলকে কেন্দ্র করে মৃতঃ কৃষ্ণ রায় ও তার ছেলে নারায়ণ চন্দ্র রায়, মেয়ে রীণা রায়কে অতর্কিত হামলা করে গুরুতর আহত ও জখম করে আলমগীর ও তার লোকজন। এতে তারা গুরুতরভাবে আহত হন। ওই ঘটনায় আলমগীরের বিরুদ্ধে বাগেরহাট বিঞ্জ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাও করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় কারও জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়া যায় কিনা, এমন প্রশ্ন করে আলমগীর হাওলাদাররের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এবং পরে কথা বলবেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ ব্যাপারে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যেহেতু আদালতে মামলা চলমান রয়েছে সেহেতু মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেখানে আলমগীর জোরপূর্বক জমি দখলের কোনো বৈধতা নেই। রাতের আঁধারে লোকজন নিয়ে ঘর নির্মাণ করছে এমন খরব পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই ঘটনাস্থলে যায় এবং তারা পালিয়ে যায়। থানায় আলমগীরদের একাধিকবার ডাকা হলেও তারা হাজির হননি। তবে প্রতিকার পেতে ভুক্তভোগী নারায়ণ চন্দ্রকে আদালতের স্মরণাপন্ন হতে পরামর্শ দিয়েছি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
বাগেরহাট প্রতিনিধি
সাময়িকী, বাগেরহাট প্রতিনিধি।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!