দেশের দুই জেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিন ভাই-বোনসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ভালুকায় তালাবদ্ধ ঘরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আপন তিন ভাই-বোন মারা গেছে। আর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গেছেন দুজন।
রবিবার দিবাগত রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয়।
রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সিডস্টোর কাজী অফিস গলিতে তালাবদ্ধ ঘরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আপন তিন ভাই-বোনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলো- বড়বোন খাদিজা (৫), ছোট বোন রাদিয়া (২), ভাই রায়হান (৬)। তারা নেত্রকোণা জেলার সুমনের ছেলে-মেয়ে। সুমন ভালুকার সিডস্টোর কাজী অফিস গলিতে রুবেলের বাসায় ভাড়া থাকত। ওই ঘটনায় পাঁচটি ঘর পুড়ে গেছে।
ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, রাত ৯টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু রাস্তা দিয়ে আমাদের গাড়ি ভেতরে না ঢুকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্বার করে ভালুকা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার আলীগঞ্জ ব্যাপারীবাড়ি এলাকায় ট্রাকের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দশজন দগ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে ব্যাপারীবাড়ি এলাকায় ট্রাকচালক আবদুল বাতেন মেরামতের জন্য একটি গাড়ির সিলিন্ডার থেকে গ্যাস অপসারণ করছিলেন। সিলিন্ডারটি থেকে তখন গ্যাস বের হচ্ছিল।এসময় অপর ট্রাকচালক আলম হোসেন সিগারেট জ্বালাতে গেলে আগুনের সংস্পর্শে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে রাত ১২টায় ও সোমবার সকাল ৮টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলম (৪০) ও জজ মিয়ার (৫০) মৃত্যু হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ওই ঘটনায় বর্তমানে আফসানা সাথী (২০), আসমা বেগম (৪০), হাসিনা বেগম (৩৮), হাফসা (৬) ও তাহমিনা (১৫) চিকিৎসাধীন আছেন। আসমার শরীরের ৪১ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ৬৫ শতাংশ, আফসানা সাথীর ৬ শতাংশ, হাফসার ৬ শতাংশ ও তাহমিনার ৬ শতাংশ পুড়ে গেছে।