ওমিক্রন তাণ্ডবের প্রকোপ গত দুই সপ্তাহ ধরে কমের দিকে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেটা আরও কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আড়াই হাজার, আর শনাক্তের হার নেমে এসেছে ৯ এর ঘরে।
এর আগে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এর চেয়ে বেশি দুই হাজার ৯১৬ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। তারপর থেকে আর আড়াই হাজারের কম রোগী শনাক্ত হয়নি।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা) করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৮৪ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন। গতকাল (১৭ ফেব্রুয়ারি) অধিদফতর তিন হাজার ৫৩৯ জন শনাক্ত এবং ২০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং এ হার গতকাল ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছিল অধিদফতর।
অধিদফতর জানাচ্ছে, নতুন শনাক্ত হওয়া দুই হাজার ৫৮৪ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় সরকারি হিসাবে শনাক্ত হলেন ১৯ লাখ ২৯ হাজার ১৫৪ জন এবং মারা যাওয়া ২৪ জনকে নিয়ে মোট মারা গেলেন ২৮ হাজার ৯৩১ জন।
করোনা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ হাজার ৯৮৮ জন। এ নিয়ে মোট ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন বলেও জানায় অধিদফতর।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৭ হাজার ৬৯২টি আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৭৬৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৪টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৮ লাখ ৪৪ হাজার ৩৬৮টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৬টি।
দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক আট শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন আর নারী সাত জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ৪৭৮ জন এবং নারী ১০ হাজার ৪৫৩ জন।
বয়স বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৬১ থেকে ৭০, ৭১ থেকে ৮০ বছর আর ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে আছেন চার জন করে। ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে আছেন তিন জন। ৩১ থেকে ৪০ বছর আর ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন দুই জন করে এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আছেন একজন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, ২৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই মারা গেছেন ১৪ জন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম আর সিলেট বিভাগের আছেন তিন জন করে, রাজশাহী বিভাগের দুই জন এবং খুলনা ও রংপুর বিভাগের আছেন একজন করে।
অধিদফতরের তথ্যমতে, ২৪ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২০ জন এবং বাকি চার জনের মৃত্যু হয় বেসরকারি হাসপাতালে।