নাটোরে সড়ক সংস্কারের ১৫ দিনের মাথায় উঠে গেছে পিচ। বিচ্ছিন্ন ভাবে রাস্তার দুই পাশে পড়ে আছে কুচি পাথর। এলাকাবাসী বলছে- এইসব কুচি পাথরগুলো পড়ে থাকার কারণে যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সরোজমিনে দেখা যায়, সম্প্রতি নলডাঙ্গা-আত্রাই সড়কের কাজ প্রায় শেষ হওযায় আত্রাই থেকে নলডাঙ্গায় হয়ে নাটোর দিয়ে ঢাকাগামী বাস চলাচল শুরু করেছে। তবে এই রাস্তার গুরুত্ব বেড়ে গেছে অনেক। আর ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কারে করা আংশ কাজে আসছে না। বেড়েছে ভোগান্তি।
তবে স্থানীয়রা মনে করেন, নিন্ম মানের সড়ক সংস্কার কাজ করে হাতিয়ে নিয়েছে সরকারি অর্থ। অন্যদিকে বেড়েছে জনগণের দুর্ভোগ, ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। পুরো রাস্তা জুড়ে কুচি পাথর ছড়িয়ে থাকার কারণে রাস্তাটিতে চলাচলে দূর্ঘটনার ঝুকি বেড়েছে বহু গুন। ভ্যান রিক্সা ও মটর চালকেরা বলছেন, রাস্তার যা অবস্থা তাতে একটি টায়ার এক মাসও টিকবে না।
নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের চিকুর মোড় এলাকার অটোচালক ইস্কেন্দার আলী সাময়িকীকে জানান, ‘রাস্তার উপরে প্রথমে তেল অথবা মবেল দিয়েছে, তারপরে পাথর ছিটিয়ে চলে গেছে। সংস্কার কাজের লোকজন চলে যাবার পর থেকেই সেই পাথর উঠে রাস্তার উপর ও পাশে যত্রতত্র পড়ে থাকছে, যা আমাদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চিকুর মোড় এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী আরমান আলী সাময়িকীকে জানান, ‘মাত্র ১২ দিন আগে এই রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে গত দুইদিন আগে একজন মোটরসাইকেল আরোহী পাথরের কারণে স্লিপ করে পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে গেছে। আমরা খুব অসুবিধের মধ্য আছি।’
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম সাময়িকীকে জানান, ‘এই কাজের ধরনটাই এমন। প্রথমে বিটুমিন দিয়ে পড়ে পাথর কুচি ছিটিয়ে দেওয়া হয়। নাটোর থেকে নলডাঙ্গা মোট ১৩ কিলোমিটার সড়কের সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ হয়েছে।
সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করার জন্য ৭৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । এখনও সব বিল পরিশোধ করা হয় নি। তবে কাজ যদি নিয়ম মাফিক না হয়, তাবে পুনরায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেওয়া হবে। তারপরে বিল পরিশোধ করা হবে।’
সাময়িকীর অনুসন্ধানে জানা যায় কার্যাদেশে নাটোর থেকে নলডাঙ্গা পর্যন্ত মোট ১৩ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কথা। বিশ্বস্ত একটি সূত্র বলছে এই কাজে কোন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। তার সেই কথার সত্যতা নিশ্চিত করতে অনুসন্ধান চলছে।