ঢাকা: করোনা প্রতিরোধে ১২ বছরের কম বয়সী অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের টিকার অনুমতি না থাকায় সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও দুই সপ্তাহ দেখে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান তারা।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়া হয়নি। আমাদের পরামর্শকরা বলেছেন, সংক্রমণের হার দ্রুত নামছে। আমরা গোড়াতে দেখেছি সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশ ছিল, এখন দেখছি ১২ দশমিক ২০ ভাগে নেমে এসেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই তারা আশা করছেন। ২২ তারিখের পর থেকে ১০ দিন বা দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও শ্রেণিকক্ষে আনতে পারবো বলে আশা করছি।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থী অর্থাৎ ১২ বছরের নিচের শিশুদেরও টিকাদানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এর সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও একটা অনুমোদনের ব্যাপার রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়গুলো দেখছে। প্রাথমিক মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করছে। যখনই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন নিয়ে তৈরি হবে তখনই শিশুদেরও টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের স্কুলও বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ মাস পর গত বছরে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও খুদে শিক্ষার্থীদের আর স্কুলে ফেরা হয়নি।
দুই বছর ধরে বন্ধ থাকা প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা তো প্রাথমিক স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। যদি স্কুল খুলে দিই তাহলে প্রাক-প্রাথমিক নিয়েও ভাববো। কারণ তারা তো ছোট শিশু।