আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশের এক কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন।
তিনি জানান, এই অভিযানের মধ্য দিয়ে দেশে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ সরকার টিকার দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজকে প্রাধান্য দেবে।
তিনি বলেন, “এই অভিযানের মাধ্যমে সরকার প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে। ওই দিন সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।”
ডিজিএইচএস প্রধান জনগণকে দেরি না করে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যু হার এবং হাসপাতালে ভর্তির হার টিকা না দেওয়াদের তুলনায় কম।”
সংশোধিত লক্ষ্য অনুযায়ী, দেশের লক্ষ্য ছিল মোট জনসংখ্যার ৭০% (১১.৯২ কোটি) মানুষকে টিকা দেওয়ার। সোমবার পর্যন্ত এই লক্ষ্যমাত্রার ১০ কোটি ৬ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি ২৮ লাখ মানুষ টিকার দুটি ডোজ এবং ২৫ লাখ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশের ৭০% জনসংখ্যাকে টিকা দিতে হবে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৮৪% জনসংখ্যাকে টিকা দিয়েছে।