বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ২২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মধ্যে ১৭৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও উপকূলীয় এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ২২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৩ টি কলেজ, ৫ টি ডিগ্রী মাদরাসা, ২ টি আলীম মাদরাসা, ৩৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১১ টি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২০ টি ইবতেদায়ী মাদরাসা রয়েছে। ১২৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২১ টিতে শহীদ মিনার আছে। ১০৬ টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। ২০ টি ইবতেদায়ী মাদরাসার একটিতেও শহীদ মিনার নেই। ৩ টি সরকারি কলেজের মধ্যে রামপাল সরকারি কলেজে শহীদ মিনার দেখানো হলেও সেটি রয়েছে অযত্নে-অবহেলিত। ৩৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪ টিতে শহীদ মিনার আছে। বাকী ২০ টিতে নাই। আলীম মাদরাসার ২টির কোনটাই নেই। দাখিলের ১০ টির মধ্যে কোনটিতেই নেই। ৫ টি ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার একটিতেও শহীদ মিনার নেই। এ নিয়ে অনেক পূর্ব থেকেই লেখা লেখি করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক, সাবেক শিক্ষক ও সচেতন মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৫০ বছরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার নির্মান না হওয়া দুঃখজনক। এ বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি এ্যডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ বলেন, আমরা খুব হতাশ। তিনি আরও বলেন, আমাদের মাতৃভাষাকে বিশ্ববাসী স্বীকৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু কেন এতে বছরেও শহীদ মিনার নিয়ে কথা বলা লাগবে ? তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে দ্রুত শহীদ মিনার নির্মানের জোর দাবী জানান।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তথ্য প্রেরণ করেছি। একই কথা বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন শহীদ মিনার নির্মান না হওয়ায় আমাদের এ নতুন প্রজন্ম বাংলা ভাষা তথা মাতৃভাষার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করে শহীদ মিনার নির্মান করবো। উপজেলা প্রশাসনের ও সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে।