জায়েদ খানের পক্ষে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের শুনানি আজ হচ্ছে না। রবিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন। আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বিচারক তা এক দিন পিছিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার ধার্য করেছেন।
রবিবার আদালতে নিপুণ আক্তারের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান। জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। সেদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। শুনানির আগে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ বা নিপুণ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানানো হয়।
জায়েদ খানের পক্ষে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি সেই আপিলটি ফুল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খান তার বিরুদ্ধে নেওয়া নির্বাচনের আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সে দিনই শুনানি শেষে হাইকোর্ট জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তাকে সপদে বহাল থেকে কাজ চালিয়ে চাওয়ার আদেশ দেন। একই সঙ্গে নিপুণের পদ স্থগিত করেন।
এছাড়া জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে সেই রুলের জবাব দিতেও বলেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের জন্য গঠিত আপিল বোর্ড। পরের দিন বিকালে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণসহ নতুন কমিটির ১০ জন শপথও নেন।