২০১২ সালে প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে খেলেছিল চেলসি। তবে আসরে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ান্সের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল ইংলিশ দলটির।কিন্তু এবার আর হতাশ হতে হয়নি দলটিকে। শিরোপা জিতেই মাঠ ছাড়ে ব্লুজরা। আবুধাবির মোহাম্মেদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে শনিবারের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতার পর অতিরিক্ত সময়ে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। জয়সূচক গোলটি করেন কাই হার্ভাটজ।
সেমিফাইনালে জয়ের নায়ক রোমেলু লুকাকু জালের দেখা পেলেন শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চেও। দ্রুত সমতা টেনে লড়াই জমিয়ে তোলে পালমেইরাস। অবশেষে অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকের গোলে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবে মাতল চেলসি।
ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে হেডে দুর্দান্ত গোল করে চেলসিকে এগিয়ে নেন বেলজিয়ান তারকা রোমালো লুকাকু। বাঁ দিক থেকে হাডসন উদোর মাপা ক্রসে বক্সের ভেতরে খানিকটা লাফিয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এই বেলজিয়ান তারকা। সেমিফাইনালেও লুকাকুর গোলে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ব্লুজরা।
৬৪ মিনিটে সমতায় ফেরে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস। চেলসির ডি বক্সে থিয়াগো সিলভার হাতে বল লাগলে ভিএআর চেকে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে গোল করতে ভুল করেননি রাফায়েল ভেইগা।
নির্ধারিত নব্বই মিনিট গোল শূন্য সমতায় থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। সেখানেই বাজিমাত চেলসির। ১১৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে চেলসির শিরোপা নিশ্চিত করেন কাই হ্যাভার্টজ। পালমেইরাসের ডি বক্সে লুয়ানের হাতে বল লাগলে ভিএআর চেকে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। হাতে বল লাগায় হলুদ কার্ড দেখেন লুয়ান। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দশ জনের দলে পরিণত হয় পালমেইরাস। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লুয়ান।