দেশে গত ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ হু হু করে বাড়তে থাকার পেছনে প্রধানত দায়ী অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন। রাজধানী ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯২ শতাংশের শরীরেই ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি।
শনিবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৫ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে ২৪ জন কোভিড আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
আইসিডিডিআরবি জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রনের দুটি উপধারা পাওয়া গেছে। ৮৬ শতাংশের শরীরেই পাওয়া গেছে বিএ২, আর বাকি ১৪ শতাংশের শরীরে বিএ১ ধরন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ডিসেম্বরের শুরুতে ওমিক্রন বাংলাদেশে শনাক্ত হলেও জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ঢাকায় এর অতি বিস্তার ডেল্টা ধরনের ওপর প্রাধান্য লাভ করে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক মাসে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের ৮২ শতাংশ ভাইরাসটির ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য বলেন, গত ৯ জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বমোট ভর্তি রোগী এবং বহির্বিভাগে আসা রোগীদের ৮২ শতাংশ করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত। বাকি ১৮ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত পেয়েছি।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এই সময়ে ওমিক্রনের তিনটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট (উপধরন) পরিলক্ষিত হয়েছে। সেগুলো হলো—বিএ.১, বিএ.১.১, বিএ.২। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিএ.২ বেশি সংক্রামক।
দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন বাংলাদেশে প্রথম ধরা পড়ে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর। জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরা দুজন নারী ক্রিকেটারের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া যায়। এরপর থেকে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকে।