ইতিহাস বলছে নাটোরের মূল কেন্দ্রস্থল নাটোর রাজবাড়ী। যে রাজবাড়ীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে নাটোর শহর। অনেকের মতে নাটোর রাজবাড়ী নির্মাণের আগে থেকেই বসতি ছিল এই নাটোরে।নাটোর রাজবাড়ী ছাইভাঙ্গার বিলে নির্মাণ করা হয়েছিল। হতে পারে বিলের ভিতর বিচ্ছিন্ন দ্বীপে জনবসতি ছিল।
তবে রাজবাড়ী নির্মাণকে কেন্দ্র করে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছিল। ইতিহাসবিদরা বলছেন অর্ধবঙ্গেশ্বরী মহারানী ভবানীর শাসনামলে চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাটসহ বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কালের সাক্ষী হয়ে সেই সমস্ত উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো নিদর্শন হিসেবে আজও রয়ে গেছে।
উত্তরোত্তর জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সেই সমস্ত রাস্তাঘাটসহ সকল উন্নয়ন সংকুচিত হয়ে আছে। প্রয়োজন সংস্কারসহ সম্প্রসারিত করণের। তবে সেই সমস্ত কর্মযজ্ঞ করতে যে অর্থের প্রয়োজন তা বিনিয়োগের অভাব রয়েছে। সেই সাথে সদিচ্ছারও ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন নাটোরের সচেতন মহল।
নাটোর রাজবাড়ি সম্ভাবনাময় এক পর্যটন কেন্দ্র। ভ্রমণপিপাসু মানুষ প্রাচীন এই স্থাপত্যশৈলী এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচিতি লাভের আশায় প্রতিদিন এখানে ভিড় জমায়। তবে আভ্যন্তরীণ সড়কের বেহাল দশার কারণে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
অর্ধবঙ্গেশ্বরী মহারাণী ভবানীর নাটোর রাজবাড়ির অভ্যন্তরের রাস্তা ঠিক কত বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল তার সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না। তবে স্থানীয়রা বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নজর হীনতার কারণে দীর্ঘদিন যাবত এই রাজবাড়ির ভিতরের রাস্তাগুলো বেহাল অবস্তায় রয়েছে ।
স্থানীয় নাগরিক মো. রওশন আলী সাময়িকীকে জানান, “দূরদূরান্ত থেকে রাণী ভবানীর এই রাজবাড়ী দেখতে প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় জমান। রাজবাড়ীর ভেতরের ধুলো আর কাদামাখা রাস্তা দেখে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের নিকট জোর দাবি জানাই যেন অতি দ্রুত এই রাস্তাগুলো সংস্কার করা হয়।”
ঢাকা থেকে আগত ভ্রমণপিপাসু বেনুবর্ণা অধিকারী সাময়িকীকে জানান, এত সুন্দর একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শনের জন্য ভেতরের রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। এখানকার রাজনীতিবিদরা ইচ্ছা করলেই রাস্তাগুলো সংস্কার করতে পারত কিন্তু হয়তো তাদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।”
অর্ধবঙ্গেশ্বরী মহারাণী ভবানীর নাটোর রাজবাড়ির অভ্যন্তরের রাস্তা ঠিক কত বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল তার সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না। তবে স্থানীয়রা বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নজর হীনতার কারণে দীর্ঘদিন যাবত এই রাজবাড়ির ভিতরের রাস্তাগুলো বেহাল অবস্তায় রয়েছে ।
স্থানীয় নাগরিক মো. রওশন আলী সাময়িকীকে জানান, “দূরদূরান্ত থেকে রাণী ভবানীর এই রাজবাড়ী দেখতে প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় জমান। রাজবাড়ীর ভেতরের ধুলো আর কাদামাখা রাস্তা দেখে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের নিকট জোর দাবি জানাই যেন অতি দ্রুত এই রাস্তাগুলো সংস্কার করা হয়।”
ঢাকা থেকে আগত ভ্রমণপিপাসু বেনুবর্ণা অধিকারী সাময়িকীকে জানান, এত সুন্দর একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শনের জন্য ভেতরের রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। এখানকার রাজনীতিবিদরা ইচ্ছা করলেই রাস্তাগুলো সংস্কার করতে পারত কিন্তু হয়তো তাদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।”
এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাটোর সদর ও রানী ভবানী কেন্দ্রীয় উদ্যান যুবপার্ক ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ রনি খাতুন’এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাময়িকীকে জানান, নাটোর রাজবাড়ীর রাস্তাগুলো নাটোর পৌরসভার অধীন।
রাজবাড়ীর অভ্যন্তরের রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য গত ২১. ১২. ২০২১ খ্রিস্টাব্দে নাটোর পৌরসভার পৌর মেয়র বরাবর, একটি পত্র প্রদান করা হয়েছে। পত্রতে রানী ভবানী কেন্দ্রীয় উদ্যান যুবপার্কের অভ্যন্তরের রাস্তাঘাটগুলো সংস্কার প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।”
এ ব্যাপারে পৌর মাতা উমা চৌধুরি জলি সাময়িকীকে জানান, “রাজবাড়ীর ভেতরের রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রশাসন কর্তৃক একটি পত্র পেয়েছি। রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা পৌরসভার তহবিলে ছিলনা, তাই এতদিন রাস্তাগুলো সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি অরো বলেন, সম্প্রতি নাটোর পৌরসভা মেগা প্রকল্পের আওতায় বড় ধরনের একটি অর্থ বরাদ্দ পেয়েছে। নাটোর রাজবাড়ী পর্যটন কেন্দ্রটি আরো সমৃদ্ধ করতে আশা করি খুব দ্রুতই রাজবাড়ীর ভেতরের রাস্তাঘাটগুলোর সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”
নাটোরবাসি আশাবাদীদের দলে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই প্রতিশ্রুতি আট-দশটা প্রতিশ্রুতির মত হেলায় হারিয়ে যাবে না এমনটাই প্রত্যাশা নাটোরের সকলের। প্রিয় পাঠক সাময়িকী আছে নাটোর রাজবাড়ী ঘিরে। রাজবাড়ীর সমস্যা ও নিদর্শনসমূহ নিয়ে ধারাবাহিক এই প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে চোখ রাখুন।