২৮ দিন পর দুঃখ প্রকাশ করলেন শাবিপ্রবির উপাচার্য

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি ও লাঠিপেটার ঘটনাকে “অনাকাঙ্ক্ষিত” বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ঘটনার ২৮ দিন পর শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য বলেন, “আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা আহত হয়েছেন, সবার প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। উক্ত ঘটনার ধারাবাহিকতায় সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ সরকারের সব স্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ সিলেটের সুশীল সমাজের সবাইকে এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিরসনে মিডিয়া কর্মীদের যারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরকেও জানাচ্ছি ধন্যবাদ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রিয় প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা সম্ভব হবে।”

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় উপাচার্যকে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেওয়ার পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

- বিজ্ঞাপন -

উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি প্রভোস্টবিরোধী আন্দোলনের সময় অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে মুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। এ সময় আহত হন ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ। হামলার পরপরই প্রভোস্ট বিরোধী আন্দোলন উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করার ১৬৩ ঘণ্টা পর ২৬ জানুয়ারি শিক্ষাবিদ-কলামিস্ট অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান এবং সব দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন। এরপর থেকে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!