মেয়াদপূর্তির এক দিন আগে আগামীকাল রবিবার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষায়িত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। উদ্বোধনী দিনে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এই জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাও রয়েছেন।
এ ছাড়া রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাবেক সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
রবিবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ এই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে ‘মুুজিব শতবার্ষিকী’ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গীকৃত ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ (বাংলাপাঠ) এবং বাংলায় জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১-এর মোড়ক উন্মোচনও করা হবে।
বিদায়ি নির্বাচন কমিশনের এটিই হতে যাচ্ছে শেষ উদ্যোগ। এই অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ি সাক্ষাৎ করবেন কমিশনের সদস্যরা।
জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর বিশেষ এই স্মার্ট কার্ডের নকশা তৈরি করতে সাত সদস্যের একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ ও পরামর্শ অনুযায়ী স্মার্ট কার্ডের ডিজাইন চূড়ান্ত হয়। অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী বর্তমান স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের অবয়ব ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য অপরিবর্তিত রেখে চিপের ঠিক নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা রয়েছে।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ পদবি সংযুক্ত এই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র চূড়ান্ত করতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। বিদ্যমান স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা হয়।
উল্লেখ্য, স্মার্ট কার্ডে তিন স্তরবিশিষ্ট ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথম স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য খালি চোখে দেখা গেলেও দ্বিতীয় স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলো দেখার জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ যন্ত্র। অন্যদিকে ল্যাবরেটরিতে ফরেনসিক টেস্টের মাধ্যমে শেষ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা হয়ে থাকে। ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দযুগল সংযোজনের ফলে কোনো ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য দেখা/পড়া এবং যাচাই যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সে বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যাদি স্মার্ট কার্ড এবং ডাটাবেইসে সুনির্দিষ্টভাবে সংরক্ষিত থাকবে।