মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটিতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে আটক করেছে। মালয়েশিয়ার ইংরেজি দৈনিক দ্যা স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাইনুদ্দিন।
যদিও গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ দূতাবাস বা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, খায়রুজ্জামানকে সেলাঙ্গর প্রদেশের আমপাং এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে কী অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানায়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে এক যুগের বেশি সময় শরনার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান। তিনি জেল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর খায়রুজ্জামানকো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি মালয়েশিয়া ছাড়াও মিয়ানমার, মিসর ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর খায়রুজ্জামানকে অবসরে পাঠানোর পাশাপাশি জেল হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর খায়রুজ্জামান জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।
পরে ২০০৭ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর খায়রুজ্জামানকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি সেই নির্দেশ অমান্য করে মালয়েশিয়ায় থেকে যান।
বর্তমানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দেওয়া শরণার্থী মর্যাদায় খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় অবস্থান করেন। শরনার্থী হিসেবে তাকে দেওয়া ইউএনএইচসিআর-এর দেওয়া কার্ডের মেয়াদ আছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।