পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব ঢাকা ওয়াসার

ঢাকা প্রতিনিধি
ঢাকা প্রতিনিধি
3 মিনিটে পড়ুন

সরকারের ভর্ভুকি কমাতে ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা ওয়াসা। এক্ষেত্রে সরকারকে চার ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সেবা সংস্থাটি। প্রস্তাবে বর্তমান মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ দাম বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।

ওয়াসা এমডি বলেন, ‘পানির মূল্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উৎপাদন খরচ বেশি। কিন্তু বিনিময় মূল্য কম। সরকার ভর্তুকি দিয়ে চালাচ্ছে। ভর্তুকি হ্রাস করার জন্য কী করা যায় সেটা নিয়ে আমরা প্রতি বছর আলোচনা করি। এরই অংশ হিসেবে বোর্ড সভায় আলোচনা হয়েছে।’

তাকসিম বলেন, ‘প্রত্যেক বছর পানির মূল্য সমম্বয় করে থাকি। ৫ শতাংশ সমম্বয় করতে পারে বোর্ড। এর বেশি করতে পারে সরকার। প্রতি বছর আমরা ৫ শতাংশ করে দাম সমম্বয় করেছি।’

‘সরকার ভর্তুকিটাকে কমিয়ে আনতে বলছে’ জানিয়ে ওয়াসা প্রধান বলেন, ‘সরকার ভর্তুকি দেবে দরিদ্র মানুষের জন্য। ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো যথেষ্ট নয়। কারণ বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। ’

- বিজ্ঞাপন -

ওয়াসা সরকারকে চার ভাগে প্রস্তাব করেছে বলে জানান তাকসিম এ খান। একটা হচ্ছে ১০০ ভাগ, একটা ৫০ ভাগ, একটা ৪০ ভাগ আর একটা হচ্ছে ২০ ভাগ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব।

‘তবে আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে ২০ শতাংশের কম যেন না হয়।’ বলেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। তার ভাষ্য, সায়দাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে উৎপাদিত প্রতি এক হাজার লিটার পানির জন্য সংস্থাটির খরচ হয় ২৫ টাকা, পদ্মা যশলদিয়ায় ২৭ টাকা এবং গন্ধর্বপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে সম্ভাব্য খরচ হবে ৩৫ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২১ সালে দাম বাড়ানোর পর রাজধানীর আবাসিক গ্রাহকরা প্রতি ১ হাজার লিটার পানির জন্য ১৫ টাকা ১৮ পয়সা গুনছেন। আর বাণিজ্যিক গ্রাহকদের প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম দিতে হয় ৪২ টাকা। ওয়াসার প্রস্তাব অনুযায়ী ২০ শতাংশ দাম বাড়ালেও আবাসিক গ্রাহকদের প্রতি হাজার লিটার পানির জন্য দাম গুনতে হবে ১৮ টাকা ২১ পয়সা। আর একই হারে দাম বাড়লে বাণিজ্যিক গ্রাহককে প্রতি হাজার লিটারের জন্য ৫০ টাকা ৪০ পয়সা হারে দাম গুনতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘পানির যেটি প্রকৃত উৎপাদন খরচ, আমরা তার চেয়ে কম মূল্যে দিচ্ছি। আন্ডারগ্রাউন্ড পানির উৎপাদন খরচ কম। সার্ফেস ওয়াটারের ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ বেশি। এছাড়া ডিস্টিংশন নেটওয়ার্ক রয়েছে।’

এমডি আরো বলেন, ‘বহু সংস্থা আছে, যারা সরকারের দেনা পরিশোধ করে না। ওয়াসাই এক মাত্র সংস্থা, যাদের কোনো ঋণ বাকি নেই। ঋণের কোনো কিস্তি বকেয়া নেই।’

- বিজ্ঞাপন -

রাজধানীর অভিজাত, মধ্যম আয় ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আলাদা দাম নির্ধারণের ইচ্ছার কথা জানিয়ে তাকসিম এ খান বলেন, ‘তিনটা ক্যাটাগরিতে পানির দাম নির্ধারণ করতে চাই। আমাদের এটা নিয়ে রিসার্চ চলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ওয়াসার উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক আবুল কাশেম ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!