আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার সময় প্রত্যন্ত এক পাহাড়ি গিরিপথে বিশাল হিমবাহ ধসে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হিমবাহ ধসে প্রাণহানির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এক তালেবান কর্মকর্তা। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের কুনার প্রদেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নাজিবুল্লাহ হাসান আব্দাল বলেন, “উদ্ধারকারী কর্মীরা হিমবাহ ধসের স্থানে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন। এখন পর্যন্ত সেখান থেকে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”
শত শত আফগান নাগরিক প্রায় প্রতিদিনই কাজের সন্ধানে অথবা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে যান বলেও জানান তিনি।
গত আগস্টে পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর বিদায় এবং তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে অবৈধ চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর মারাত্মক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসকের এঁকে দেওয়া “ডুরান্ড লাইন” হিসাবে পরিচিত দুই দেশের সীমান্তের ২ হাজার ৬৭০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দিচ্ছে পাকিস্তান।
ব্যবসায়ী এবং চোরাকারবারিরা কর এড়াতে প্রত্যন্ত পার্বত্য গিরিপথ ব্যবহার করে শতকের পর শতক ধরে দুই দেশের মাঝে অবৈধপথে যাতায়াত করে আসছেন। এসব গিরিপথে প্রায়ই হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটছে।
২০১৫ সালে কয়েকবার ধ্বংসাত্মক হিমবাহ ধসে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে আড়াইশ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।