ব্যক্তি মালিকানা গাছ কাটতেও অনুমতির বিধান রেখে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন, ২০২২-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন এই আইন করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে সভায় যোগ দেন। অনলাইন গণমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকের পর সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “যারা সাধারণ বাগান করবেন বা স্থায়ী যে গাছ লাগাবেন, সেগুলোও তারা তাদের ইচ্ছামতো কাটতে পারবেন না। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই নিয়ম রয়েছে।”
তিনি বলেন, “ইউ ক্যানট ইম্যাজিন, সৌদি আরবে আমার বাড়িতে একটা গাছ পড়ে গেছে। এটা আমি সিটি করপোরেশন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কাটতে পারবো না। এটা ভারতেও আছে। এটাকে ইমপ্লিমেন্ট করতে বলা হয়েছে।”
সামাজিক বনায়নের গাছগুলোও এর আওতায় আসবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এখানে স্থায়ী গাছের কথা বলা হয়েছে। লাউ গাছ কাটতে কোনো বাধা নাই।”
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ১৯৫৯ সালের ৬৭ নম্বর অধ্যাদেশ বলে স্থাপিত পূর্ব পাকিস্তান বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন” নামের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৪৮ মোতাবেক করপোরেশনটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন” রাখা হয়।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এখানে অনেকগুলো বিষয় আছে। একটা করপোরেশন গঠন করা হবে সেখানে একজন চেয়ারম্যান এবং পরিচালক থাকবেন। তারা এটাকে প্রশাসনিকভাবে দেখবেন। একটা বোর্ড থাকবে, সেটা নীতিগত বিষয়গুলো তদারকি করবে। এর কাজ হবে করপোরেশনের অধীনে উৎপাদিত কাঠ বা কাঠের আসবাবপত্র আইনের অধীনে আসবে।”