স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ২০২২ সালের মধ্যেই বুস্টার ডোজসহ দেশের সবাইকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের মানুষ বুস্টারসহ টিকার পরিপূর্ণ ডোজ পাবে। এ বছরের শেষ নাগাদ বুস্টার ডোজসহ সবার টিকাদান সম্পন্ন হবে।”
তিনি জানান, দেশের ১৪ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০% মানুষ টিকা পেয়েছে। প্রথম ডোজ ১০ কোটি, দ্বিতীয় ডোজ প্রায় ৭ কোটি, শিক্ষার্থীদের দেড় কোটির মতো টিকা দেওয়া হয়েছে।
জাহিদ মালেক আরও জানান, টিকাদান কার্যক্রম সফলভাবে চলছে। টিকার জন্য এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে।করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সব টিকার সমান কার্যকারিতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যে টিকা পাওয়া যাবে, সেটি নিতে হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, দেশে দেড় থেকে পৌনে ২ কোটি মানুষ এখনও টিকা নেননি। শতভাগ টিকা দিতে না পারলে কিছু টিকা রয়ে যেতে পারে। সেগুলো কী করা হবে, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বর্তমানে দেশের হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপ নিয়ে তিনি বলেন, “হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা এখন আড়াই হাজারের মতো। ঢাকা বিভাগে দেড় হাজারের মতো। টিকা নেওয়ার কারণে মৃত্যুহার সেভাবে বাড়েনি।”