চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ও নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক কিশোরসহ দুজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক খবরে জানা যায়, আজ সোমবার সকাল ও দুপুরে পৃথক সংঘর্ষে এই দুজন মারা গেছে। তাদের মধ্যে দুপুরে নলুয়ায় নিহত কিশোরের নাম তাসিব (১৩) এবং সকালে বাজালিয়ার সংঘর্ষে নিহত যুবকের নাম আবদুস শুক্কুর (৩৫)। তাসিবের বাড়ি নলুয়ায় এবং শুক্কুরের বাড়ি বাজালিয়ায়।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নলুয়া ইউনিয়নের বোর্ড অফিস কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে এক পক্ষের কোপে কিশোর তাসিব গুরুতর আহত হয়। তাকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে বাজালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাপস দত্ত চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুস শুক্কুর মারা যান।
দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সপ্তম ধাপে আজ সাতকানিয়া উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়নে ভোট নেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকে কয়েকটি ইউনিয়নে কিছু কেন্দ্রে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়।
দুপুরে নলুয়ার ঘটনাটি ঘটে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মরফলা বোর্ড কেন্দ্রের বাইরে। সেখানে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে কিশোর তাসিবের মৃত্যু হয়।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বাজালিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় আবদুস শুক্কুরের।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল গণমাধ্যমকে বলেন, বাজালিয়া ও নলুয়া ইউনিয়নে দুজন মারা গেছেন। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সকালে খাগড়িয়া ইউনিয়নের গণিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাগড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকতার হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোটরসাইকেল) জসীম উদ্দিনের সমর্থকরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় ভোটাররা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়।
পরে পুলিশ ও বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তাদের উপস্থিতির সময় ও তারা চলে যাওয়ার পরও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।