শেষ (সপ্তম) ধাপে ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি)। এসব ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। অবশ্য ১০ ফেব্রুয়ারি আরও ৮টি ইউপিতে ভোট হবে। ওই ভোটের মধ্য দিয়ে চার হাজার ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন শেষ হচ্ছে। দেশের চার হাজার ৫৭৪টি ইউপির মধ্যে সীমানা নির্ধারণ ও মামলাসহ নানা জটিলতার কারণে বাকিগুলোর ভোট হচ্ছে না।
সোমবার অনুষ্ঠিত ১৩৮টি ইউপির মধ্যে ৯টিতে ইভিএম এবং অন্যগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোট ৭১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ১৩ জন, সাধারণ আসনের সদস্য পদে ৪৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসির নির্বাচন কমিশন শাখা জানায়, এই ধাপে ৫ হাজার ৮৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭৬ জন, সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী এক হাজার ২৩৬ জন এবং সাধারণ প্রার্থী চার হাজার ৬২ জন। ভোট কেন্দ্র এক হাজার ৩৫০টি। আর ভোটকক্ষ সাত হাজার ৮৫টি।
সপ্তম ধাপে ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৮২ জন ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৬ জন, নারী ১১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৩ জন প্রার্থী।
এই ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি মোবাইল ফোর্স টিম থাকবে। প্রতি ৩টি ইউনিয়নে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম করে থাকবে।
প্রতিটি উপজেলায় র্যাবের মোবাইল টিম দুইটি ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর প্রতিটি উপজেলায় বিজিবির মোবাইল টিম ২টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১টি করে থাকবে। প্রতিটি উপকূলীয় উপজেলায় কোস্টগার্ডের দুটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।