চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তিনি। তার আইনজীবী জেড আই খান পান্না আজ রোববার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে। আইনজীবী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ ধারা অনুযায়ী এ আবেদন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মামলায় গত ৫ জানুয়ারি চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে আদালত পরীমনিসহ তিন জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করে। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেন।
২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর মাদক আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেয় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। সেই সঙ্গে চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
এর দুই মাস আগে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পরীমণির জামিন মঞ্জুর করে।
এ মামলায় ৪ অক্টোবর পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্র দাখিলের পর ১০ অক্টোবর পরীমণি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন নেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদ জাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ওই লাইসেন্সের মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে।
পরীমনি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।