আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তিন হাজার ৮৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেই সঙ্গে চলতি অর্থবছর (২০২১-২২) শেষে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭.২ শতাংশও হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গতবছর জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ বছর জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২০।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে আমাদের জিডিপির আকার হবে ৪৫৫ বিলিয়ন ডলার। এই ৪৫৫ বিলিয়ন ডলারকে আমাদের যে জনগোষ্ঠী আছে তার সঙ্গে ভাগ দিলেই মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৭৮৫ ডলারে উন্নীত হবে। এটা হচ্ছে আমাদের এই বছরের হিসাব। আশা করি, আগামী অর্থবছরে আমাদের জিডিপির আকার অর্ধ ট্রিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইএমএফ সবসময় বিশ্বের অর্থনীতি একদিকে বিশ্লেষণ করে, অন্যদিকে তাদের পর্যবেক্ষণ বা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আমরা প্রত্যাশা করছি ৭ দশমিক ২০ শতাংশ, এর বিপরীতে আইএমএফ বলছে আমাদের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ আমরা অর্জন করতে সক্ষম হব।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমরা যা বলেছি সেটা অর্জন করতে সক্ষম হব। আগামী বছরও আমাদের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ৮৯ মার্কিন ডলার হবে, ওই বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, এটা আমার মোটামুটি হিসাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত কমিটির তিনটি ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাতটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, জননিরাপত্তা বিভাগের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল।’