করোনাভাইরাসের নতুন ধরন “নিওকোভ” আরও বেশি প্রাণঘাতী বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চীনের উহান ইউনিভার্সিটি এবং চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অব বায়োফিজিক্সের গবেষকরা। চীনা গবেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিওকোভ ভাইরাসটি আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুরের শরীরে ছড়ালেও ভবিষ্যতে তা মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) চীনের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে বাদুড়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছে “নিওকোভ”। যা, মানুষের জন্য আরেকটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, নিওকোভ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
বায়োআরজিভ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রটির এখন পর্যন্ত পিয়ার রিভিউ করা না হলেও গবেষণায় উহানের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মানুষের কোষে অনুপ্রবেশের জন্য নিওকোভের শুধুমাত্র একটি মিউটেশন প্রয়োজন। এটি করোনাভাইরাসের অন্য সব ধরনের তুলনায় আরও বেশি মারাত্মক ও সংক্রামক হতে পারে।
এছাড়া, প্রচলিত কোনো টিকা নিওকোভ প্রতিরোধে কার্যকর হবে না। ফলে, নিওকোভে আক্রান্ত প্রতি ৩ জনের একজনের মৃত্যু হতে পারে বলে গবেষকরা আশঙ্কা করছেন।
অন্য এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিওকোভ মানুষকে আক্রান্ত করেনি। তবে এই ভাইরাসটি যদি আরও রূপান্তর ঘটলে, তাহলে তা মানবদেহের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
চীনা গবেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে নিওকোভ ধরনটি আর একটিমাত্র রূপান্তর প্রয়োজন। করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের মতোই মানবকোষে ঢুকতে পারে এটি।
গবেষকেরা বলছেন, সৌদি আরবে ২০১২ সালে শনাক্ত হওয়া মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (মার্সের সঙ্গে নতুন ধরনটি খুব সংশ্লিষ্ট। এটি মার্সের মতোই প্রাণঘাতী। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিদ্যমান অ্যান্টিবডি দিয়ে নিওকোভকে ঠেকানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন চীনা গবেষকেরা।