গত বছরের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে দেশের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে দুই ডোজ মিলিয়ে ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭১২ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।
সেদিন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই ৫ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ভ্যাকসিন নেন রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর পর্যায়ক্রমে টিকা নেন ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশ মো. দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সারাদেশে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ৮ লাখ ৪২ হাজার ৮৫৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯ কোটি ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩০২ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৯৯ হাজার ৪১০ জন। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চীনের তৈরি সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক, ফাইজার এবং মডার্নার টিকা।
আর গত ১ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ স্কুল শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে, আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ৮০৫ জন।
এদিকে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, গেল ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় ২ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার সিনোফার্ম, চীন থেকে ৭ কোটি ৭০ লাখ সিনোফার্ম ও ৭ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার সিনোভ্যাকসহ মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ডোজ এবং ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।