টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর ফের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) মূল ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব ভবনের তালাও খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে চলবে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের অনুরোধে অনশন ভাঙেন তারা। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের মূল দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ ও প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টার অপসারণ বিষয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছেন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে কথা বলেন মোহাইমিনুল বাশার রাজ। তিনি বলেন, ‘স্যার আমাদের কাছ থেকে কিছু লিখিত দাবি নিয়েছিলেন। তখন আমরা পাঁচটি দাবি উল্লেখ করি। এর মধ্যে চারটি দাবি ইতোমধ্যে পূরণ হয়েছে। এখন আমাদের মূল দাবি ভিসির অপসারণ এবং এরই সঙ্গে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ। এ দায়িত্ব জাফর ইকবাল স্যার এবং ইয়াসমিন হক ম্যাম শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিয়েছেন। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের সমস্ত আবাসিক হল পুরোদমে চালু হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
রাজ আরও বলেন, ‘বাকি চারদফা দাবি মধ্যে- আমাদের অর্থ দিয়ে সহায়তা করায় গ্রেপ্তার আমাদের পাঁচজন বড় ভাইকে মুক্তি দিতে হবে। ইতোমধ্যে তারা জামিন পেয়েছেন। চতুর্থ দাবি অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলাটি প্রত্যাহার করা। সেটিও হয়েছে। পঞ্চম দাবি ছিল অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা, সেটি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে । ১৬ জানুয়ারি ভিসির মদদে সংঘটিত নারকীয় পুলিশি হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘যেগুলো উপাচার্য বন্ধ করে দিয়েছলেন এখন আমরা সেগুলো করব। গান, কবিতা, রোড পেয়িন্টিং করে আমরা এখন আন্দোলন চালিয়ে যাব। উপাচার্য বাসভবনের ফটকের সামনেই মঞ্চ তৈরি করে গান আয়োজন করব।’