জাতীয় সংসদে বিল আকারে উত্থাপন করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত খসড়া আইন। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এটি উত্থাপন করেন।
পাঁচ দিন বিরতির পর আজ বেলা ১১টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন আবার শুরু হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করছেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতেই বিলটি পাঠানো হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হতে হলে বাংলাদেশের নাগরিক ও বয়স কমপক্ষে ৫০ বছর হতে হবে। একই সঙ্গে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হয়েছে। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আইনটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন ও পাস করে গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য হাতে চার সপ্তাহ সময় রয়েছে।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন- ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ওই দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে।