আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ ঘোষণা করেছে। যেখানে সবচেয়ে বেশি ৩ জন বাংলাদেশ থেকে জায়াগা পেয়েছেন। এরা হলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এছাড়া দুজন করে ক্রিকেটার জায়াগা পেয়েছেন পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড থেকে। তবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো পরাশক্তির দেশ থেকে কোনো খেলোয়াড়ই একাদশে ঠাই পাননি।
ওপেনার হিসেবে এই একাদশে আছেন আয়াল্যান্ডের পল স্টার্লিং ও দ.আফ্রিকার জান্নেমান মালান। ওয়ানডে ডাউনে পাকিস্তানের বাবর আজম নেতৃত্বেও থাকছেন। চার নম্বরে আছেন বাবরের স্বদেশি ফখর জামান। পাঁচে প্রোটিয়া ব্যাটার রাসি ফন ডান ডাসেন।
ছয় নম্বর পজিশনে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এরপর উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে আছেন আরেক টাইগার মুশফিকুর রহিম।
আটে আছেন শ্রীলঙ্কার স্পিন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এরপর তিন পেসারের জায়গা। যেখানে প্রথমেই রাখা হয়েছেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমানকে। ক্রম অনুযায়ী দশে আছেন আইরিশ পেসার সিমি সিং। আর ১১তম স্থানে লঙ্কান পেসার দুশমন্থ চামিরা।
আইসিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সাকিবকে নিয়ে লিখা হয়েছে, আরও একটি বছর সাকিবের মাস্টারক্লাস দেখা গেল। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ২০২১ সালে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। ৯ ম্যাচে খেলে এই বাঁহাতি ৩৯.৫৭ গড়ে দুটি হাফসেঞ্চুরিসহ ২৭৭ রান করেছেন। এছাড়া বাঁহাত ঘুরিয়ে ১৭.৫২ গড়ে ১৭টি উইকেটও নিয়েছেন। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ ভাবে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। সেবার সিরিজ সেরাও নির্বাচিত হন।
মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে লিখা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশি ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও নিজের জাত চিনিয়েছেন। ৯ ম্যাচে তিনি একটি সেঞ্চুরিতে ৫৮.১৪ গড়ে ৪০৭ রান করেছেন। উইকেটে ব্যস্ত সময় পার করা এই তারকা দারুণ কিছু শটে খেলেন।
এদিকে বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে একমাত্র বাংলাদেশি মোস্তাফিজুর রহমান ওয়ানডে দলেও দাপটের সঙ্গে আছেন। কাটার মাস্টারকে নিয়ে আইসিসি লিখেছে, বোলিং বৈচিত্রে চতুরতা ও গতি পরিবর্তনের কৌশলে ২০২১ সালেও বাঁহাতি এই পেসার দাপট দেখিয়েছেন। ভয়ঙ্কর বোলিংয়ে তিনি ১০ ম্যাচে ২১.৫৫ গড়ে ১৮টি উইকেট নিয়েছেন। তিনি রান দেওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কৃপণ ছিলেন। যেখানে বোলিং ইকোনোমি ৫.০৩।
আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দল: পল স্টার্লিং, জান্নেমান মালান, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, রাসি ফন ডার ডাসেন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মোস্তাফিজুর রহমান, সিমি সিং ও দুশমন্থ চামিরা।